দুদক চেয়ারম্যানের কাছে প্রস্তাব
দূর্নীতি প্রভাবশালীরাই করেন। কৃষক-শ্রমিক, রিকশাওয়ালা বা সাধারন মানুষের দূর্নীতি করার কোন সুযোগ নেই।
দুদক নিয়ে দেশের মানুষের কোন উচ্চাশা না থাকলেও, ব্যাক্তিগতভাবে বর্তমান দুদকের উপর আমার ইতিবাচক প্রত্যাশা রয়েছে।
আসলে রুঢ় বাস্তবতা হচ্ছে, ক্ষমতাসীনরাই দূর্নীতি করে।
আর সেই কারনেই ক্ষমতাসীনদের আস্হাভাজন ও নিয়োগপ্রাপ্ত কমিশন কোনভাবেই নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে যাবার পর্যাপ্ত সাহস বা শক্তি রাখে না। দুদকের পক্ষে তাই কোনভাবেই রিজার্ভ লুট, শেয়ার কেলেঙ্কারি, ব্যাংক তছরুপসহ শত হাজার কোটি টাকার সরকারী লুটপাট ধরা সম্ভবপর নয়।
তেমনিভাবে, তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুদকের অসংখ্য মামলা সচল করাও বর্তমান দুদকের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয়।
তাই দুদক চেয়ারম্যানকে একটি সহজ প্রক্রিয়ার কথা বলছি-
যেহেতু আপনাদের পক্ষে বাস্তবে ক্ষমতাসীনদের দূর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া একেবারেই সম্ভব নয়, তাই প্রাথমিকভাবে সারাদেশের অসংখ্য “অরাজনৈতিক দূর্নীতিবাজদের” বিরুদ্ধে কঠোর এ্যাকশনে যান।
যেহেতু ঘুষ-দূর্নীতির মধ্যে পুরো দেশ ব্যাপকভাবে নিমজ্জিত, তাই সর্বাগ্রে হেভিওয়েট ঘুষখোর ও সম্পদ পাচারকারীদের আগে ধরুন। এতে যেমন সরকারের ভাবমূর্তি বাড়বে, তেমনি জনগণেরও প্রশংসা পাবেন।
দ্বিতীয় পর্যায়ে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে চিহ্নিত দূর্নীতিবাজ এবং সরকারী দলের “দূর্নীতিবাজ পাতিনেতাদের” ধরুন। এগুলো করতে পারলে পরবর্তী পর্যায়ে যাবার জন্য জনগণই দুদকের স্বাধীনতা ও শক্তির যোগান দিবে।