ধর্ষণের মত দুর্নীতিও বাংলাদেশের একটা বড় ব্যাধি

ধর্ষনের মত দুর্নীতিও বাংলাদেশের একটা বড় ব্যাধি কাজেই আমাদের দেশ থেকে দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতে পারলে বর্তমান সরকারের সাফল্য সারাজীবন মানুষ মনে রাখবে। একটি দেশ সামনের কাতারে নিয়ে যেতে স্বপ্ন দেখতে হয়, সে স্বপ্ন আমাদের সরকার প্রধানের আছে। তার সে স্বপ্ন যারা বাস্তবায়ন করবে তাদের মধ্যে অনেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়াতে সকল কাজ প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না এবং সাধারন মানুষ তার সুফল পাচ্ছে না।

বাংলাদেশে এসিড নিক্ষেপও একসময় বহুল আলোচিত অপরাধ ছিল। জনগনের প্রত্যাশা এবং সরকার প্রধানের সাহসী পদক্ষেপের কারণে এর জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড করা হয় এবং শক্তিশালী পদক্ষেপের কারণে আজ এসিড নিক্ষেপ সংঘটিত হচ্ছে না। আমি বিশ্বাস করি একইভাবে ধর্ষণে অভিযুক্ত অপরাধীদেরও সরকার কোন আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে না। বরং অপরাধীদের দ্রুত বিচার আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করার চেষ্টা করছে এবং ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড দেয়ার জন্য আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। ইতমধ্যে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০০০’ র খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

স্বস্থির খবর হচ্ছে হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই ধর্ষণের শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আশাকরি দ্রুতই এসব ঘৃন্য অপরাধ এই আইনের সঠিক ব্যবহারের মধ্যে একদম কমে যাবে। দেশটা হবে ঘরে-বাহিরে সবার জন্য নিরাপদ।
ধর্ষনের শাস্তি যেমন পরিবর্তন হচ্ছে, আর একটা অাইন দ্রুত পরিবর্তন করার বিনীত অনুরোধ করছি। বাংলাদেশে যে যেখানে যেই অবস্থানেই থাকুক না কেন, দুর্নীতির (অর্থের সাথে সশ্লিষ্ট যে কোন অবৈবধ আয়) শাস্তিট খুব দ্রুত করলে মানুষের আস্থা সরকারের উপর অনেকগুন বেড়ে যাবে। বর্তমান আইনে যদি দুর্নীতিবাজকে দ্রুত সাজা না দেওয়া যায়, প্লিজ আইন পরিবর্তন করে হলেও দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আমার মতে একটা সাজা এমন হতে পারে, দুর্নীতির পরিমান যাই হোক না কেন, দুর্নীতি প্রমান হওয়ার সাথে সাথেই সেসহ তার পরিবারের সকলের স্থাবর/ অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং সরকারের কোষাগারে চলে আসবে।
কোনভাবেই সে সম্পত্তি তার পরিবার ভোগ করতে পারবে না। অল্প পাপে গুরু দন্ড দিতে হবে, তাহলে পরিবারের সদস্যরাও সর্বদা সজাগ থাকবে এবং কেউ কখনও দুর্নীতি/ ঘুষ /অবৈধ ইনকাম করতে সাহস পাবে না।
তিলে তিলে দুর্নীতিবাজ পরিবারটা ধবংস হয়ে যাবে এবং সবাই সাবধান হয়ে যাবে এবং এ রকম কাজ কখনো করবে না। সামান্য কয়েকজন দুর্নীতিবাজ লোকের কারনে পুরো দেশের অর্জন নষ্ট হতে পারে না, এখনও বেশিরভাগ লোক সৎভাবে তাদের উপার্জন করে কাজেই দ্রুত এর প্রতিকার করতে হবে।

যেই ফরম্যাটেই হোক না কেন দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে না পারলে বাংলাদেশের মত ছোট এবং জনবহুল দেশ কখনও সামনের দিকে আগাতে পারবে না।
পৃথিবীর যত ছোট দেশ আছে সবার উন্নতির পেছনেই রয়েছে উন্নত মানের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান। আমরা এ দুটো জায়গাতেই অনেক অনেক পিছিয়ে আছি। শিক্ষা ব্যবস্থার অধিকতর উন্নতি এবং সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহারেরর মাধ্যমেও দুর্নীতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

প্রযুক্তি হতে হবে নিজেদের তৈরি, ধার করা প্রযুক্তি দিয়ে দেশকে সাময়িকভাবে হয়তো আগানো সম্ভব কিন্তু সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। শিক্ষাক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণার পথ তৈরি করতে পারলে, ১৫-২০ বছর পরেই দেশ এর সুফল পেতে শুরু করবে এবং সেটা হবে টেকসই। শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যায় করা মানে হলো একধরনের বিনিয়োগ কয়েকবছর পরেই এর সুফল আপনি হাতে পাবেন।
করোনা মহামারীতে সারাবিশ্ব আজ প্রায় বিধ্বস্ত। এ অবস্থায় সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে করোণা নির্মূলে সরকারের সকল পদক্ষেপকে মেনে নিয়ে আপনার পাশের বাড়ির লোকটাকেও সহযোগিতা করার মানসিকতা তৈরি করুন। কোন কারনে যদি কারও উপকার করতে নাও পারেন তবে চেষ্টা করবেন আপনার দ্বারা যেন কারও বিন্দুমাত্র ক্ষতি না হয়। তবেই আমরা আগামী দিনে ধর্ষণ, দুর্নীতিসহ (সুদ, ঘুষখোর) অনান্য সকল অপরাধমুক্ত, করোনামুক্ত একটি সুন্দর সোনার বাংলাদেশ পাব।

Maniruzzaman

I am Maniruzzaman, a free thinker and political commentator, dedicated to unraveling the complexities of Bangladesh’s political landscape.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button