বাংলাদেশে দূর্নীতির সমস্যা: পর্বঃ ২

২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে দূর্নীতির পরিমান বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকায়, তখন দূর্নীতিতে আমরা পাঁচবার ১ম স্থান অধিকার করি।

দূর্নীতির ফিরিস্তি অনেক লম্বা, কানাডিয়ান কোম্পানি শেভরনকে বিনা টেন্ডারে ৩৭০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দিতে উৎকোচ গ্রহনের বিষয়ে তদন্ত করছে মন্ত্রনালয় যা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার দেশে চলমান বিদ্যুৎ সঙ্কট মেটানোর জন্য সাশ্রয়ী পদক্ষেপ না নিয়ে প্রাইভেট কোম্পানি গুলোর কাছ থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে কম দামে বিক্রি করায় প্রতি বছর বিপিডিবি-র ক্ষতির পরিমান বেড়েই চলেছে। কুইক রেন্টাল সিস্টেমের সাথে যারা জড়িত তাদের মধ্যে নাম এসেছে সরকারের অতি উচ্চ পর্যায়ের আত্মীয় স্বজন ও ঘনিষ্টজন।

২০১০ সালের শেষ দিকে শেয়ার বাজার ধ্বসের একটি হিসেবে উঠে আসে যে, দেশের ৩৩ লক্ষ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অনুমান করা হয় যদি তাদের সাথে ৫ জন করে সেকেন্ডারি বিনিয়োগকারী থাকে তাহলে এই ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৬৫ লক্ষ। আমার দেশ পত্রিকার ২১.০১.২০১১ইং তারিখে নিউজ হয় “শেয়ারবাজার ধসে সরকারের মাথাব্যাথার কিছু নেই। কারণ শেয়ারবাজারের পূঁজি প্রকৃত বিনিয়োগে যায় না শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা দেশের অর্থনীতিতে কোনো অবদান রাখে না”।
এই কেলেঙ্কারির সাথে যারা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে আছেন ম্যানপাওয়ার বিজনেস খ্যাত জনৈক সরকারদলীয় এমপি এবং দরবেশ বাবা রূপে খ্যাত দেশের বিশিস্ট ব্যাবসায়ী।

চলবে – – –

Maniruzzaman

I am Maniruzzaman, a free thinker and political commentator, dedicated to unraveling the complexities of Bangladesh’s political landscape.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button