আর কতদিন প্রবাসীরা বিমানবন্দরে এভাবে হয়রানির শিকার হবেন?

বাংলাদেশে বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার পথে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা। বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ২৬ লাখ ৭৪ হাজার জন (প্রায়) প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের আনাচে-কানাচে বসবাস করছেন। প্রবাসীরা দেশে ফেরত আসাকালীন এবং দেশ থেকে বাহিরে দেশে যাওয়ার সময় প্রতিনিয়ত বিমানবন্দরে কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তার অসদাচরণ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অসংখ্য অভিযোগ, বছরের পর বছর সংবাদ প্রকাশ, মন্ত্রীপর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সিভিল এভিয়েশনের কড়া তদারকি, প্রশাসনিক নজরদারিসহ গোয়েন্দা বিভাগগুলোর নানামুখী তৎপরতার পরও বন্ধ হচ্ছে না উসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী হয়রানি। উসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত ও নাজেহালের শিকার হচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে কর্মরত বাংলাদেশিরা।

ইমিগ্রেশন বিভাগে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা এসব প্রবাসী কর্মজীবীর সঙ্গে খুব দুর্ব্যবহার করেন।
সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য বিষয় হলো বতমানে দুবাই ভিজিট ভিসা চালু তাকার পরও মানুষ দেশ থেকে আসতে পারতেছেনা,বিমানবন্দরে কনটাকের নামে বড় ধরনের দুনীতির কারণে।
অথচ যেখানে সমস্যা হওয়ার কথা দুবাই এয়ারপোর্টে সেখানে কোন ধরনের সমস্যা হয় না।আফসোস লাগে আমাদের বড় সাহেবদের এ ধরনের আচরণ দেখে।
এসব অপমানজনক ঘটনায় ক্ষুব্ধ অনেক প্রবাসী রাগে-দুঃখে হাঁউমাউ করে কেঁদে ওঠেন, অপমান-লজ্জায় বিমানবন্দরের মেঝেতে গড়াগড়ি পর্যন্ত দেন। অনেকে জীবনে আর কখনো দেশে না ফেরার শপথ পর্যন্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধের ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া থাকলেও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না এ হয়রানি। নিরাপত্তা তল্লাশির নামে যাত্রীদের এ ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, যাত্রীদের লাগেজ সংগ্রহে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় সংঘবদ্ধ চক্র লাগেজ গায়েব করে ফেলে।
গত ২০ বছরে হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী ও বিমান ওঠানামার সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি যাত্রীসেবার মান। আগে লাগেজ পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে প্রবাসীদের অপেক্ষা করতে হতো। এখনো সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলেনি প্রবাসীদের। দ্রুত যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তাদের বিমানবন্দর ত্যাগের অনুমতি দেয়ার দাবি করেছেন তারা।

প্রবাসীদের খুব বেশি চাওয়া নেই, হাজারো প্রবাসী স্বপ্ন দেখে কিছু অর্থ উপার্জন করে দেশে ফিরে যাবে। ফিরে যাবে আপনজনদের কাছে, প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে, সন্তানের কাছে, বাবা-মায়ের কাছে। প্রবাসে পাখির ডাকে ভোরে ঘুম ভাঙে না,ঘুম ভাঙে ঘড়ির অ্যালার্মে।
তাই এ বিষয় গুলো দায়িত্বশীল ভাইদের মাথায় রাখা উচিত।

Maniruzzaman

I am Maniruzzaman, a free thinker and political commentator, dedicated to unraveling the complexities of Bangladesh’s political landscape.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button