দুর্নীতিবাজ অন্য পুলিশরা কি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকবে?
দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। প্রতিদিন গণমাধ্যমের খবরে সাবেক এই পুলিশ কর্তার নতুন নতুন অবৈধ সম্পত্তির খবর মিলছে।
এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে শুধুই কি মি. আহমেদ একাই এই সম্পত্তি অর্জন করেছেন? নাকি এখনো যারা দায়িত্বে আছেন তাদের মধ্যেও অনেকে দুর্নীতিতে জড়িয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন করছে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, সবাই না হলেও সিংহভাগ পুলিশ কর্মকর্তাই কোনো না কোনোভাবে দুর্নীতি করছে। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করলেও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় পুলিশের অপরাধ বন্ধ হচ্ছে না।
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক নূরুল হুদা বলেন, “এই দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্ব প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নির্বাহীদের ওপর বর্তায়। কোনো কারণে তারা শৈথিল্য দেখাচ্ছে বলেই বাহিনীর যারা দুর্নীতি ও অপকর্ম করছে তারা পার পেয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পুলিশের দোর্দণ্ড প্রতাপ নিয়ে নানামুখী সমালোচনা রয়েছে।
থানার কনস্টবল থেকে শুরু করে শীর্ষ পদ পর্যন্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির নানা খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও তার বিরুদ্ধে কতটা সোচ্চার দুর্নীতি দমন কমিশন সেই প্রশ্নও রয়েছে।
জবাবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে আছে। যার বিরুদ্ধেই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সাবেক আইজিপি মি. আহমেদের বিরুদ্ধে হঠাৎ নানা তৎপরতা দেখা গেলেও তার ব্যাংকে থাকা টাকা ও কিংবা তার দেশত্যাগ ঠেকাতে দুদকের ভূমিকা নিয়েও নানা ধরনের প্রশ্ন দেখা যাচ্ছে।
সেই সাথে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে এখনো যারা পুলিশের পদে থেকে দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে?
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, “ডিআইজি থেকে শুরু করে প্রায় দশজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তাদের তদন্ত চলছে।”