করোনা থেকে যেভাবে সুরক্ষিত থাকবেন
আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে হবে, তাহলে শুধু করোনা নয়, আরও বহু ধরনের রোগ থেকে সুস্থ্য থাকা সম্ভব। করোনার প্রচারনা দুনিয়াব্যপী তুঙ্গে, ফলে এটাকে এত ভয়াবহ মনে হচ্ছে। অন্য অনেক ভাইরাস এর চাইতে অনেক বেশী মানুষকে মেরেছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু টিপস দিচ্ছি, যা অতি জরুরী:
১. উদ্বেগ উৎকন্ঠা কাটিয়ে উঠুন। হাসিখুশী থাকুন। একজন মুসলিম যদি ভাবে সর্বাবস্থায় আলহামদুলিল্লাহ, তবে সে হাসিখুশী থাকবে। হাসিখুশী থাকা সুন্নাহ। এর আরেক অর্থ হল-আমি আমার অবস্থার জন্যে আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। অন্যের প্রতি কৃতজ্ঞ হলে, অন্যের উপকারকে প্রাধান্য দিলে মনে শান্তি আসবেই। অন্তরকে প্রশান্ত করুন ভালো কাজের মাধ্যমে।
২. পর্যাপ্ত বিশ্রাম,পর্যাপ্ত ঘুম। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৩. এন্টি অক্সিডেন্ট আছে এমন খাবার খাওয়া। গাজর,টমেটো,বেরী,লেবু ,আনার বা ফলমূল বেশী খাওয়া। টক জাতীয় ফলকে প্রাধান্য দিন। ভিটামিন সি খেতে হবে বেশী। করোলা বা উচ্চে হল লিভারের ১ নাম্বার ওষুধ। যে কোনো তিতা খাবার শরীরের জন্যে ভালো।
৪. প্রত্যেক রাতে তেতুল ভিজানো পানির সাথে মধু আর হলুদের গুড়ো যুক্ত করে খান। লিভার ভালো থাকবে,বিষমুক্ত থাকবে। তখন সে শরীরের রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারবে।
৫. সকালে খালি পেটে লেবুর রস,সাথে পানি,একটু মধু খেতে হবে। এপল সাইডার ভিনেগার হলে ভালো। আর খালি পেটে খেজুর খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৬. নিয়মিত অল্প হলেও শরীর চর্চা করা। আপনি যেটা পারেন সেটাই করেন। যেমন দড়ি লাফের দড়ি না থাকলে বা পর্যাপ্ত স্থান না থাকলে দড়ি ছাড়াই ওরকম লাফ দিতে থাকেন, শরীর ঘামান। উঠবস করুন, বুকডন দিন,ইউটিউবে কিছু ব্যায়ামের টিপস নিন এবং বাসায় ১৫ মিনিট হলেও করুন।
৭. আপাতত জনসমাবেশ এড়িয়ে চলুন। নিজের একান্ত জিনি, যেমন টাওয়েল,মোজা,জুতো,ঘড়ি,জামা কাপুড়,সাবান এসব অন্যের সাথে শেয়ার করবেন না। আপাতত হাত না ধুয়ে সেই হাত নাক,মুখে লাগাবেন না। টাকা গুনলে,পার্সেল বক্স খুললে,বাইরের অন্য কিছু স্পর্শ করলে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মসজিদে গেলে নিজস্ব জায়নামাজ নিয়ে যান। সেজদায় গিয়ে নি:শ্বাস নিবেন না। নি:শ্বাস বন্ধ করে সেজদাহ দিন। আপাতত হ্যান্ডশেক না করাই ভালো।
৮. করোনা নিয়ে উৎকন্ঠিত হবেন না। এটা অবশ্যই ম্যানেজ করা সম্ভব। আল্লাহ এসব বিপদ দিয়ে মানুষকে ভালোর দিকে ফিরে আসতে বলেন। আল্লাহমুখী হতে হবে। আর বাইরে বের হবার আগে ২ রাকাত নপল নামাজ আদায় করুন। এটা সুন্নাহ। দরজা খুলে বাইরে যাওয়ার আগে পড়ুন, বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ…। তাহলে রসূল(সাঃ) বলেন, এটা পড়লে আল্লাহ তাকে নিরাপত্তা দান করেন।
৯. কোনো এলাকায় বা স্থানে পৌছে পড়ুন- আউযু-বি কালিমাতিল্লাহি তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক। –আল্লাহর কোনো মাখলুক এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাওয়া। উক্ত স্থানের ক্ষতি থেকে আল্লাহ নিরাপদ রাখবেন। এবং দূরারোগ্য বা ভয়ঙ্কর ব্যাধী থেকে নিষ্কৃতির জন্যে পড়ুন–আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল জুনুনী,ওয়াল জুজামী, ওয়া মিন শাইয়্যিল আসকাম।….সকল দুয়াগুলো বুখারী,মুসলিম ও সহি হাদীস গ্রন্থের।
১০. চিন্তা করুন, মৃত্যু যেকোনো ভাবেই আসবে। এটা থেকে কারো রেহাই নেই। মৃত্যুর মালিককে যেন ভুলে না যাই। বেশী বেশী আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে হবে।