ডামি নির্বাচনেও থেমে নেই আওয়ামি গুণ্ডাদের তাণ্ডব
ডামি প্রার্থী, ডামি নির্বাচন। তবুও থেমে নেই আওয়ামী গুণ্ডাদের তাণ্ডব। দেখুন ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনটি। দেশ ও জাতিকে এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে বন্দরনগরীর খুলশী এলাকায় পাহাড়তলী কলেজের ভোটকেন্দ্রের কাছে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ভোটারসহ দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
সূত্র জানিয়েছে, এ সংঘর্ষের সময়ে যিনি গুলি করেছেন তার নাম শামীম আজাদ।
তিনি স্থানীয় কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিনের অনুসারী বলে জানা গেছে।
দ্য ডেইলি স্টারকে কাউন্সিলর ওয়াসিম বলেন, ‘আমার অনেক অনুসারী আছে। কে কোথায় কি করছে তা আমার পক্ষে খবর রাখা সম্ভব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গুলির ঘটনা ঘটেছে কি না, বা সেখানে কী হয়েছে, আমি জানি না। ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না।’
শামীম আজাদকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন কি না জানতে চাইলে ওয়াসিম বলেন, ‘হ্যাঁ, চিনি। সে ছাত্রলীগ কর্মী।’
এ ঘটনায় আহতরা হলেন আকবরশাহ এলাকার আশিক বড়ুয়ার ছেলে শান্ত বড়ুয়া (২৪) এবং খুলশী এলাকার ঝাউতলার আরজু মিয়া কলোনির বাসিন্দা আমির হোসেনের ছেলে মো. জামাল (৩৫)।
গুলিবিদ্ধ শান্ত বড়ুয়াকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন।
দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি জানান, শান্ত বড়ুয়া কলেজ শিক্ষার্থী। তিনি ভোট দিতে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। শান্তর পেটে গুলি লেগেছে।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পাহাড়তলী কলেজে ভোটকেন্দ্রের প্রায় ৮০০ মিটার দূরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তারা গুলিবিদ্ধ হন।’
‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি,’ যোগ করেন তিনি।
যিনি গুলি করেছেন তার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘কারা সংঘর্ষে জড়িয়েছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারিনি এখনো। যিনি গুলি করেছেন তাকে আমরা খুঁজছি।’
এই আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মঞ্জুরুল আলমসহ আট প্রার্থীর বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু। যুবলীগের মহানগর শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।