দুর্নীতির অন্যতম বরপুত্র সত্যজিত মুখার্জি
ফরিদপুরের দুর্নীতির অন্যতম বরপুত্র সত্যজিত মুখার্জি
* দুর্নীতি দমন কমিশনের দেওয়া বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সত্যজিত মুখার্জির।
* ২০০৯ সালে ততকালীন মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস নিযুক্ত হয়ে ফরিদপুর থেকে ঢাকা সর্বত্র দুর্নীতির সিন্ডিকেট গড়ে তোলা সত্যজিত। সঙ্গী সিন্ডিকেট গড়ে তোলে সত্যজিত। সঙ্গী হয় বর্তমানে দুদকের আরেক মামলার আসামি ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত মোকাররম বাবু। তার তাদের গুরু হন খোন্দকার মোহতেশেম হোসেন বাবর।
* দরিদ্র পরিবারের সন্তান সত্যজিত মুখার্জির পরিবারের ফরিদপুরে থাকার কোনো জায়গা জমি ছিল না। স্থানীয় আঙ্গিনার আশ্রমে থাকতো পরিবার নিয়ে।
* সেই সত্যজিত ফরিদপুরে হাউজিং এলাকায় বহুতল ভবনের বাসভবন করেছে।
* ঢাকায় নাখালপাড়ায় নিজস্ব ফ্ল্যাট। ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুরেও ফ্ল্যাট। ফরিদপুর, ঢাকায় রয়েছে একাধিক জায়গা।
* সত্যজিত গার্মেন্টসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিক এসব উঠে এসেছে দুদকের অনুসন্ধানেই।
* ভারতেও বিস্তর সহায় সম্পদ করেছে সত্যজিত মুখার্জি।
* প্রশ্ন, আদালত কর্তৃক প্রমাণিত ও সাজাপ্রাপ্ত একজন দুর্নীতিবাজ সত্যজিতের পক্ষে সাংবাদিক প্রবীর শিকদার কথা বলেন কি তার ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই। তবে কি তার অসাম্প্রদায়িক বুলি কেবলই সহানুভূতি লাভের একটা কৌশল?
* সত্যজিত মুখার্জি তো খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস হওয়ার আগে কোনো পেশাতেই নিযুক্ত ছিলেন না। সত্যজিতের এত বিত্ত-বৈভব কিভাবে? প্রবীর শিকদার আপনি কি তাহলে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড?
* ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর টেন্ডারবাজি, মাদক, ব্যবসা, দখলবাজিসহ জুলুমবাজির প্রথম গডফাদার হলো মোকাররম বাবু। যার সাথে সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের গভীর সখ্য। এক শ্রেণীর মিডিয়া ম্যানেজ করে প্রবীর শিকদার সত্যজিত-মোকাররম বাবুর পাপমোচন করতে সচেষ্ট। এটাই কি নীতিবানের পরিচয়।
* ফরিদপুরের অনেক মাদকাসক্ত, মাদক কারবারী তথাকথিত সরকারি দল নেতার সঙ্গে আমাদের সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের গভীর সখ্য।
* প্রবীর শিকদারের কাছে জানতে চাই আপনি কাদের চর হয়ে কাজ করেন আর কতটা সাংবাদিকতা করেন এটাও পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।