এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না
১. অধিকাংশ ব্যাংকের অবস্থা ভালোনা, ব্যাংকের মালিক হয়ে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে, অথচ তাদের থেকে টাকা আদায় করতে পারতেছেনা। ফার্মারস ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কয়বছরের মাথায় লুটপাট করে এখন নতুন নামে চলছে। যারা জডিত তারা ক্ষমতাসীনদলীয় পদ পদবির অধিকারী । ব্যাসিক ব্যাংকের কেলেঙ্কারির হোতারা এখনো ধরা ছোয়ার বাহিরে। একসময় জানতাম ইসলামী ব্যাংকে অলস টাকা পডে থাকতো আর এখন সে ব্যাংকে ও বিনিয়োগের টাকা নেই। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এর মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক কিভাবে নিন্মতর পর্যায়ে আসতে পারে এটি তার জলন্ত উদাহরণ ।
২. আইন হচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়ন হলে বিনোয়গকারী এক কোটি টাকা রাখলে এক লাখ পাবে!! এটিতে কি বুজা যায়!!! সহজ হিসেব করে এক্টু দেখুন, সাধারণ মানুষ কিছু টাকা বিনিয়োগ করবে মুনাফা পেতে, সরকার বা রাষ্ট্র তাদের বিনিয়োগের আইনি সুরক্ষা দিবে, অথচ বড বড ফকীর ব্যবসার নাম করে দলীয় পরিচয়, অথবা দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাচ্ছে তাদের ধরার এবং টাকা আদায়ের সৎ সাহস নেই, তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীর পকেট কেটে চোরদের সহায়তা করছে। আসলে চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কিভাবে নিবে, তারাত মন্ত্রীদের দামি দামি স্যুট টাই ঘডি আরো কত কি উপরি দিচ্ছে।
৩. সুদের হার ৯ শতাংশ করছে। একই ভাবে সাদারন বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তারা ব্যাংকে টাকা রেখে বেশি মুনাফা পাওয়ার জন্য, অথচ এখন তা কমে আসছে। অন্যদিকে ব্যাংক থেকে যারা টাকা নিয়ে বিদেশে পাচার করছে তাদের কম সুদ দিতে হচ্ছে। সোজাসাপ্টা কথা হলো টাকা চোরদের সুবিধা দিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করতেছে। অন্যদিকে ডাকঘর সঞ্চয় এর উপর ও সুদ কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে, যদিও পরে রা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে তবে তা কতটুকু কার্যকর হচ্ছে জানা নেই। মোটাদাগে বলতে গেলে বডলোকদের সুবিধা দিতে মধ্যবিত্ত সহ অন্যদের উপর খডগ নেমে আসছে!!! অথচ গত ১০ বছরে বিদ্যুৎ এর দাম বেডেছে দফায় দফায়।।। এটাই কি উন্নয়ন!!????
৪. এদেশে একজন মাসে ১৮-২০ হাজার বেতন পেলে তাকে টেক্স দিতে হয়, এ টাকা দিয়ে ঢাকা শহরে পরিবার নিয়ে কি থাকা সম্ভব!!!?? তা ভাবার টাইম কই! অথচ অতি ধনীরা সবাই আয়কর দিচ্ছে কিনা তার যেমন হিসেব নেই , আর তা আদায়েয় কার্যকর কোন ব্যবস্থা ও নেই।
৫. সরকার প্রধান এবং কাদের সাহেব সকাল সন্ধ্যা ভুলি আওডাচ্ছেন দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় হবেনা, শাস্তির আওতায় আসবে। অথচ কাল পিরোজপুর এর এক সাবেক ক্ষমতাসীন দলীয় সাংসদ কে জেলে পাঠানোর আদেশ দেয়ার ৩ ঘন্টার মাথায় তাকে বদলীর আদেশ দেয়া হলো!!!! আর ৪ ঘন্টার মাথায় জামিন পেলেন!!! প্রশ্ন হলো, বর্তমান সাংসদ না হয়ে ও এতো কডা একশন, এটি কি অন্য দলের লোক হলেও হতো!!!! তাহলে দুদকের সামান্যতম কার্যকরিতা কোথায় থাকলো!!!?? সংবিধান অনুসারে বিচারক এর বদলী সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নিয়ে হওয়ার কথা এখানে কি তা হয়েছে!!! এটা কি স্বাধীন বিচার বিভাগ আর আইনের শাসনের নমুনা!!!?
উন্নয়ন কখনো আইনের শাসন, সম অধিকার , আইনের কাছে সবাই সমান এগুলা বাদ দিয়ে সম্ভব নয়।