এই সমাজের টপ টু বটম অনেক আগেই পঁচে গেছে
হেলেনা জাহাঙ্গীর, কামরুন নাহার, পরীমনি, বোট ক্লাবের নাসির উদ্দিন, ক্যাসিনোর জি কে শামীম, পাপিয়া, ওসি প্রদীপ কুমারের মত লোকেরা ধরা খাওয়ার আগ পর্যন্ত তাদেরকে যারা স্যার বলে মুখে ফেনা তুলতো, তাদের তালু চাটতে চাটতে যাদের জিহ্বা ক্ষয় হয়ে গিয়েছিল, স্যালুট করতে করতে যাদের কপাল কালো হয়ে গিয়েছিল, তাদের অনেকের এখন ভাবটা এমন যে এদের মত, খারাপ মানুষ আমরা জনমেও দেখিনি ।
আইনের ফাঁক দিয়ে এরা যখন বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর বা হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের মত বের হয়ে আসবে এরাই তখন ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিবে, স্যার স্যার বলে মাথায় তুলে নাচবে, এদেরকে সম্মান করবে, এদের সাথে আত্মীয়তা করার জন্য মুখিয়ে থাকবে ৷ এটাই এই সমাজের বাস্তব চিত্র ৷
এই সমাজের টপ টু বটম অনেক আগেই পঁচে গেছে । এই পচাগলা থেকে যে গন্ধ বের হয় সেই দুর্গন্ধ আমাদের আমাদের নাকও পায় না । সয়ে গেছে । টয়লেটে প্রথমে ঢুকলে একটু দূর্গন্ধ লাগে, তারপর সয়ে যায় ৷ ড্রেনের জমে যাওয়া আবর্জনায় প্রথম প্রথম দূর্গন্ধ ছড়ায়, তারপর নাক সয়ে যায় ৷ করোনা প্রতিরোধে প্রথম প্রথম সবাই যে সচেতনতা অবলম্বন করেছিল এখন সেই সচেতনতাও নেই, ভয়ও নেই ৷
করোনার চেয়েও ভয়াবহ দূর্নীতি ভাইরাস এই সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে গেছে ৷ মূর্খ, অশিক্ষিত মেম্বার-চেয়ারম্যানরা গরীব মানুষের ত্রাণ চুরি করে বিধায় সরকার শিক্ষিত প্রশাসনের হাতে ভূমিহীনদের গৃহ নির্মাণের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল, তার ফলাফলও আমরা দেখেছি ৷
এখানে চোরের বাড়ি, চোরের ঘর ৷ চোরে খায়, চোরে রান্দে ৷ চোরে চুরির সংবাদ দেয়, চোরে চোরের জন্য কান্দে ৷ চোরে চোর ধরে, চোরে চোরের বিচার করে ৷ সুতরাং কোন চোর ধরা খাওয়ার খবরে আমজনতার আনন্দিত হওয়ার কিছু নাই ৷